তথ্য বলছে, উত্তর ভারত থেকে সবচেয়ে বেশি চা রপ্তানি হয়। ওই অঞ্চল থেকে ১০ মাসে রপ্তানি হয়েছে ১১ কোটি ৩ লাখ ৩০ হাজার কেজি, আগের বছরের একই সময়ের তুলনায় যা ৪ দশমিক ৬২ শতাংশ কম।
তবে দক্ষিণ ভারত থেকে রপ্তানি বেড়েছে। গত বছরের জানুয়ারি-অক্টোবর পর্যন্ত এ অঞ্চল থেকে রপ্তানি হয় ৭ কোটি ২৩ লাখ ৬০ হাজার কেজি। আগের বছরের একই সময় রপ্তানির পরিমাণ ছিল ৭ কোটি ৮০ হাজার কেজি। অর্থাৎ এক বছরের ব্যবধানে রপ্তানি বেড়েছে ৩ দশমিক ২৫ শতাংশ।
ভারত ২০২২ সালে ২৩ কোটি ১০ লাখ ৮০ হাজার কেজি চা রপ্তানি করেছিল। ২০২১ সালে রপ্তানির পরিমাণ ছিল ১৯ কোটি ৬৫ লাখ ৪০ হাজার কেজি। এক বছরের ব্যবধানে রপ্তানি বেড়েছে ১৭ দশমিক ৫৭ শতাংশ। তবে নিম্নমুখী রপ্তানিতে ২০২৩ সাল শেষ করেছে দেশটির চা খাত। ওই বছরের নভেম্বর ও ডিসেম্বরের রপ্তানির চূড়ান্ত হিসাব এখনো পাওয়া যায়নি।
খাতসংশ্লিষ্টরা জানান, মূলত ইরানের বাজারের কারণেই রপ্তানিতে নিম্নমুখী প্রবণতা তৈরি হয়েছে। ইরান সরকার চা আমদানির জন্য বৈদেশিক মুদ্রা বরাদ্দ কমিয়ে দিয়েছে। এতে দেশটির ব্যবসায়ীরা আমদানি কমিয়ে দিতে বাধ্য হয়েছেন।
ইরান ভারতীয় চায়ের বড় আমদানিকারক। মোট রপ্তানির ২০ শতাংশ চা-ই আমদানি করে দেশটি। কিন্তু বর্তমানে দেশটির আমদানি প্রায় শুন্যের কোটায় নেমে এসেছে। এমন পরিস্থিতিতে সংযুক্ত আরব আমিরাতে রপ্তানি বাড়ানোর জোর প্রচেষ্টা চালাচ্ছে ভারত। এরই মধ্যে দেশটি ভারতীয় চায়ের দ্বিতীয় শীর্ষ আমদানিকারক হয়ে উঠেছে।
অর্থসংবাদ/এমআই