চীনের চলমান অর্থনৈতিক অনিশ্চয়তা ও মূল্যসংকোচন নিরসনে বিভিন্ন মেয়াদে উদ্যোগ নিয়েছিল বেইজিং। এক্ষেত্রে মুদ্রানীতি আরো কঠোর করার পরামর্শ দিয়ে আসছিলেন দেশটির অর্থনীতিবিদদের কেউ কেউ। কিন্তু মুদ্রানীতিকে আরো কঠোর করা হলে ইউয়ানের অবমূল্যায়নের ঝুঁকি বাড়বে বলেও সতর্ক করা হয়েছে।
যদিও বিনিয়োগকারীরা মনে করছেন, চলতি বছরের মার্চ থেকে যুক্তরাষ্ট্রের কেন্দ্রীয় ব্যাংক সুদহার কমিয়ে আনার সিদ্ধান্ত নেবে। আর তা হলে চীনের সিদ্ধান্তও প্রভাবিত হতে পারে।
এদিকে ৩১টি বাজার পর্যাবেক্ষণ প্রতিষ্ঠান নিয়ে জরিপ পরিচালনা করে বার্তা সংস্থা রয়টার্স। জরিপে অংশগ্রহণ করা ৭১ শতাংশ মনে করেন কেন্দ্রীয় ব্যাংক এক বছর মেয়াদি এমএলএফ ঋণব্যয় অপরিবর্তিত রাখবে।
অবশ্য এর পরও কোনো কোনো বিনিয়োগকারী ও বাজার পর্যবেক্ষক আগামী দিনগুলোয় মুদ্রানীতি শিথিল হওয়ার প্রত্যাশা করছেন। বিশ্বের দ্বিতীয় অর্থনীতির দেশটি চলতি বছরের গোড়ার দিকে অর্থনীতি পুনরুদ্ধারে নীতিমালায় বড় ধরনের পরিবর্তন আনে। সে প্রবণতা অব্যাহত থাকলে সুদহার মুদ্রানীতি শিথিল করা অসম্ভব না। অবশ্য পিবিওসি দাবি করেছেন, চীনের অভ্যন্তরীণ চাহিদা গতিশীল রাখার জন্য মুদ্রানীতি অনুকূলে রাখা হবে। একই সঙ্গে স্থিতিশীলতা আনা হবে পণ্যের দামে।
অর্থসংবাদ/এমআই