ভোরের আলো ফোটার আগেই দেখা যায় সব বয়সের নারী, পুরুষ ও শিশুরা হাতে জায়নামাজ নিয়ে ছুটে চলেছেন মসজিদ ও মাঠের দিকে। সূর্য ওঠার ঠিক ২০ মিনিটের মাথায় রাজধানী কায়রোসহ দেশের সকল মসজিদ ও খোলা ময়দানে একযোগে একই সময়ে অনুষ্ঠিত হয় ঈদের জামাত। এতে মিশরের নাগরিক ছাড়াও সামিল হয়েছেন দেশটিতে অবস্থানরত মুসলমান প্রবাসীরা।
মিশরে বাংলাদেশের মতো ঈদের নামাজের জন্য আলাদা কোনো ঈদগাহ মাঠ নেই। ছোট-বড় সব মসজিদের ভেতর, স্কুল, বিভিন্ন ক্লাব সংলগ্ন মাঠে ঈদের জামাত অনুষ্ঠিত হয়।

দেশটির রাজধানীর ইসলামিক কায়রো এলাকায় অবস্থিত হযরত হোসাইন (রা.) হযরত অমর ইবনুল আস (রা.), ইমাম শাফী (রা.), আল-আজহার, সাঈদা জয়নব (রা.) সাইদা নাফিজা (রা.) মসজিদসহ বেশ কয়েকটি বড় বড় মসজিদে দেশের দূরদূরান্ত থেকে এসে বাংলাদেশি প্রবাসীরাও মিশরীয় মুসল্লিদের সাথে যোগ দেন ঈদের জামাতে। তাদের নিজ নিজ এলাকায় মসজিদ ও মাঠে পরিবারের সদস্যদের নিয়ে ঈদের নামাজ আদায় করেন।
পবিত্র ঈদুল ফিতর উপলক্ষে দেশটিতে নিযুক্ত বাংলাদেশের রাষ্ট্রদূত মিস সামিনা নাজ প্রবাসী বাংলাদেশি, তাদের পরিবারবর্গ ও মিশরীয় নাগরিকদের শুভেচ্ছা জানিয়ে এক বানীতে মুসলিম উম্মার শান্তি ও সম্প্রীতি কামনা করেন। রাষ্ট্রদূত সকল ধর্মের সকলের প্রতি সম্প্রীতি ও শুভেচ্ছা জানিয়ে গাজার ভাই ও বোনদের জন্য বিশ্বের সকলের সহযোগিতা, সহমর্মিতা ও সমর্থন আশা প্রকাশ করেন।
পিরামিডের দেশটিতে এবার ঈদে ৪ দিনের ছুটির সঙ্গে দুদিন সাপ্তাহিক ছুটি মিলিয়ে ৬ দিনের ছুটি। এবারও ঈদুল ফিতর উপলক্ষে অনেক বন্দিকে ক্ষমা করে দিয়েছেন দেশটির প্রেসিডেন্ট আবদেল ফাত্তাহ আল-সিসি।
এমআই